নিম্ন-মাত্রার সিটি
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাথে, ফুসফুসে ক্যান্সার সনাক্তকরণ পরীক্ষা এখন করা হচ্ছে নিম্ন-মাত্রার কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (নিম্ন-মাত্রার সিটি) দ্বারা। এই সনাক্তরকণ পরীক্ষাটিতে ফুসফুসের ত্রিমাত্রিক এক্স-রে করা হয় উচ্চ রেজ্যুলুশন এবং অপেক্ষাকৃত কম রেডিয়েশন দিয়ে। নিম্ন-মাত্রার সিটি:
- যেকোন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করতে পারে, সেগুলো যত ক্ষুদ্র বা অস্পষ্ট হোক না কেন। নিম্ন-মাত্রার সিটি স্ক্যানিং দ্রুততর এবং স্ট্যান্ডার্ড বুকের এক্স-রে পদ্ধতির চেয়ে আর আস্থাপূর্ণ, যেটি শুধুমাত্র বড় আকৃতির ক্যান্সার টিউমার সনাক্ত করতে পারতো, এবং হৃদপিণ্ড, হাড় বা ফুসফুসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা টিউমার সনাক্তকরণে অক্ষম ছিল।
- প্রাথমিক ধাপে থাকা অবস্থাতেই ফুসফুসের ক্যান্সার পরীক্ষা করুন যাতে তা শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই চিকিৎসাধীন করা যায়।
- নিম্ন-মাত্রার সিটি স্ক্যানের জন্য অপেক্ষাকৃত কম রেডিয়েশন প্রয়োজন।
টার্গেটেড থেরাপি
কারো কারো ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি ওষুধের সেবনের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসার সময় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর কারণ হলো, এই ওষুধগুলো অনেক সময় শরীরের ক্যান্সার কোষের পাশাপাশি স্বাভাবিক কোষকেও আক্রমণ করতে পারে।
এটি প্রতিরোধ করা জন্য, একটি নতুন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার কোষগুলোকে লক্ষ্য করেই ওষুধ দেওয়া হয়, একে বলা হয় টার্গেটেড থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে, সুনির্দিষ্ট সেল-সিগনালিং প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হয় যেটির কারণে মূলত ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি হয়, সে সাথে এই পদ্ধতিতে ক্যান্সার কোষকে পৃথক করা হয় যাতে স্বাভাবিক কোষে যতটা সম্ভব কম প্রভাব পড়ে। এর অর্থ হলো, কেমোথেরাপি ওষুধের তুলনায় টার্গেটেড থেরাপিতে খুবই কম মাত্রায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে।