ফুসফুস চিকিৎসা কেন্দ্র

আমাদের ফুসফুস চিকিৎসা কেন্দ্রের মূলে রয়েছে থাই, অ্যামেরিকান এবং ব্রিটিশ ইন্সটিটিউট থেকে আগত বিশেষজ্ঞরা। এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সকল ধরনের ফুসফুর সংক্রান্ত রোগ এবং শ্বাসতন্ত্র রোগের পরীক্ষা, ডায়াগনোসিস, এবং চিকিৎসায় অভিজ্ঞ। এছাড়াও রিহ্যাবিলিটেশন এবং কনসাল্টেশন পরিষেবাও দেওয়া হয় যাতে রোগীর চিকিৎসার পর তাদের জীবনের মান উন্নয়ন করা যায়। চিকিৎসক এবং কর্মচারীরা একটি দল হিসেবে কাজ করে রোগীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে।
  • পরিস্থিতি
    ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রের অস্বাভাবিক লক্ষণসমূহ
    শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, কাশি, বুকে ব্যথা এবং ফ্লেগমে রক্তপাত ইত্যাদি লক্ষণসমূহ নির্দেশ করে যে ফুসফুস এবং শ্বাসতন্ত্রের কোন রোগ বিদ্যমান।  
    পরিস্থিতি
    • হাঁপানি
    • সিওপিডি (দুরারোগ্য প্রতিবন্ধক ফুসফুস ঘটিত অসুখ)
    • শ্বাসের সাথে ভারী ধাতু গ্রহণে ফুসফুসের অসুখ, যেমন অ্যালুমিনোসিস
    • ফুসফুস ও চারপাশের টিস্যু এবং বায়ুথলির অসুখ
    • ফুসফুসে ক্যান্সার, ফুসফুসে মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার (ফুসফুসের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়া ক্যান্সার), মেসোথেলিওমা
    • ফুসফুসের ফ্লুক এবং অন্যান্য ক্রিমি
    • ফুসফুসে সংক্রমণ, যেমন টিউবারকুলোসিস বা যক্ষ্ণা, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, ছত্রাকজনিত সংক্রমণ
    • ফুসফুসে রক্তজমাট হওয়া এবং ফুসফুস সংক্রান্ত উচ্চ রক্তচাপ
    • নাক ডাকা এবং নিদ্রাহীনতা
    • শ্বাসের সাথে ধূলোবালি গ্রহণে ফুসফুসের অসুখ
      • শ্বাসের সাথে অ্যাসবেসটস্ কণা গ্রহণে ফুসফুসের অসুখ
      • শ্বাসের সাথে বালিকণা গ্রহণে ফুসফুসের অসুখ
      • শ্বাসের সাথে বেরিলিয়াম কণা গ্রহণে ফুসফুসের অসুখ
  • রোগ নির্ণয়
    ফুসফুস চিকিৎসা কেন্দ্র বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তি দ্বারা সুসজ্জিত যাতে সহজেই রোগের ডায়াগনোসিস এবং মূল্যায়ন করা যায়।
    • বুকের এক্স-রে
    • সিটি স্ক্যান
    • কম-ডোজের কম্পিউটারাইজড টমোগ্রাফি – একটি প্রযুক্তি যা কম মাত্রার রেডিয়েশন ব্যবহার করে এবং উচ্চ রেজ্যুলশনের ত্রিমাত্রিক ছবি প্রদর্শন করতে পারে।
    • PET/CT স্ক্যান – এটি একটি রেডিওলজিকাল পরীক্ষা যা ফুসফুসের ক্যান্সারের ধাপ মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। প্রথমে রক্তে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চিনি দেওয়া হয়। যখন ক্যান্সার কোষগুলো চিনি ব্যবহার করে, তখন পার্থক্য বোঝা যায় কেননা স্বাভাবিক কোষের চেয়ে ক্যান্সার কোষ দ্রুত চিনি না শর্করা গ্রহণ করে।
    • ভেন্টিলেশন-পারফিউশন স্ক্যান
    • বায়োপ্সি
    • ব্রঙ্কোস্কোপি
    • ফুসফুসের কার্যকলাপের পরীক্ষা
    • হাঁপানী অসুখের পরীক্ষা (মেথাকোলিন চ্যালেঞ্জ)
    • নিদ্রা সংক্রান্ত পরীক্ষা – কিছু নিদ্রা সংক্রান্ত রোগ যেমন, নাক ডাকা, শ্বাসে সমস্যা এবং নিদ্রাহীনতা ইত্যাদি ডায়াগনোসিস এবং মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।
  • চিকিৎসা
    চিকিৎসার বিকল্পগুলো নির্ভর করে রোগীর রোগের লক্ষণ এবং পরিস্থিতির ওপর। চিকিৎসার বিকল্পগুলোর কিছু উদাহরণ:
     
    পরিস্থিতি চিকিৎসার বিকল্পগুলো
    ফুসফুসে সংক্রমণ অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসা
    ফুসফুসে ক্যান্সার অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি (রেডিয়েশন থেরাপি এবং ব্র্যাকিথেরাপি), টার্গেটেড থেরাপি, কেমোথেরাপি
    ফুসফুস ও চারপাশের টিস্যু এবং বায়ুথলির অসুখ স্টেরয়েড চিকিৎসা বা অন্যান্য মেডিকেশন
    অবস্ট্রাকটিভ রেস্পিরেটরি থেরাপি যেমন শ্বাসকষ্ট, সিওপিডি ওষুধ যেমন ব্রঙ্কোডায়ালেটর, স্টেরয়েড, বা অ্যান্টিহিস্টামিন
     
    বামরুংগ্রাদে পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন কেন্দ্রে ফুসফুস চিকিৎসা কেন্দ্র রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের সাথে কাজ করে যাতে থেরাপির মাধ্যমে রোগীর ফুসফুসের কার্যক্রম আরও উন্নত করা যায়, এবং সেই সাথে অস্ত্রোপচারের পূর্বে ও পরে ব্যথা উপশম করে রোগীকে একটি স্বাভাবিক জীবন-যাত্রায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

নিম্ন-মাত্রার সিটি

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাথে, ফুসফুসে ক্যান্সার সনাক্তকরণ পরীক্ষা এখন করা হচ্ছে নিম্ন-মাত্রার কম্পিউটেড টোমোগ্রাফি (নিম্ন-মাত্রার সিটি) দ্বারা। এই সনাক্তরকণ পরীক্ষাটিতে ফুসফুসের ত্রিমাত্রিক এক্স-রে করা হয় উচ্চ রেজ্যুলুশন এবং অপেক্ষাকৃত কম রেডিয়েশন দিয়ে। নিম্ন-মাত্রার সিটি:

  • যেকোন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অস্বাভাবিকতা নির্ণয় করতে পারে, সেগুলো যত ক্ষুদ্র বা অস্পষ্ট হোক না কেন। নিম্ন-মাত্রার সিটি স্ক্যানিং দ্রুততর এবং স্ট্যান্ডার্ড বুকের এক্স-রে পদ্ধতির চেয়ে আর আস্থাপূর্ণ, যেটি শুধুমাত্র বড় আকৃতির ক্যান্সার টিউমার সনাক্ত করতে পারতো, এবং হৃদপিণ্ড, হাড় বা ফুসফুসের আড়ালে লুকিয়ে থাকা টিউমার সনাক্তকরণে অক্ষম ছিল।
  • প্রাথমিক ধাপে থাকা অবস্থাতেই ফুসফুসের ক্যান্সার পরীক্ষা করুন যাতে তা শরীরের অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই চিকিৎসাধীন করা যায়।
  • নিম্ন-মাত্রার সিটি স্ক্যানের জন্য অপেক্ষাকৃত কম রেডিয়েশন প্রয়োজন।

টার্গেটেড থেরাপি

কারো কারো ক্ষেত্রে কেমোথেরাপি ওষুধের সেবনের মাধ্যমে ক্যান্সার চিকিৎসার সময় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর কারণ হলো, এই ওষুধগুলো অনেক সময় শরীরের ক্যান্সার কোষের পাশাপাশি স্বাভাবিক কোষকেও আক্রমণ করতে পারে।


এটি প্রতিরোধ করা জন্য, একটি নতুন ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে ক্যান্সার কোষগুলোকে লক্ষ্য করেই ওষুধ দেওয়া হয়, একে বলা হয় টার্গেটেড থেরাপি। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে, সুনির্দিষ্ট সেল-সিগনালিং প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হয় যেটির কারণে মূলত ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি হয়, সে সাথে এই পদ্ধতিতে ক্যান্সার কোষকে পৃথক করা হয় যাতে স্বাভাবিক কোষে যতটা সম্ভব কম প্রভাব পড়ে। এর অর্থ হলো, কেমোথেরাপি ওষুধের তুলনায় টার্গেটেড থেরাপিতে খুবই কম মাত্রায় পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

বাংলাদেশে আমাদের রেফারাল অফিস প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলুন

আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা আপনার ভাষা কথা বলে এবং হাসপাতালের পাশাপাশি বুক ভ্রমণ ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার যে কোনও প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। বুম্রুংগ্রাদের এক মূল্যের নীতি অনুসারে এই পরিষেবাটি ব্যবহার করার জন্য কোন অতিরিক্ত খরচ নেই।